ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীর ধর্ষণের (Durgapur Medical College Rape Case) ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করল পুলিশ (West Bengal Police)। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে এই গ্রেফতারি সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ধৃতদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মোট পাঁচজনকে এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের ছবি ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে। পলাতক দুই অভিযুক্তের খোঁজে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে। জঙ্গলের ভিতরে সাইকেল ও মোটরবাইক নিয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্যেও চালানো হচ্ছে নজরদারি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর কাণ্ডে মুখ খুললেন শশী পাঁজা, বিজেপিকে ওড়িশার ঘটনা মনে করালেন তিনি
সূত্রের খবর, নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা এবং দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ১০ অক্টোবর রাতে কলেজের বাইরে খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এক সহপাঠী। সেই সময় কয়েকজন যুবক তাঁদের পথ আটকায় এবং তরুণীকে জোর করে হাসপাতালের পিছনের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
পরিবারের দাবি, ওই সহপাঠীই তরুণীকে বাইরে যেতে বাধ্য করেছিলেন। ঘটনার সময় অভিযুক্তরা যখন ছাত্রীকে ঘিরে ফেলে, তখন সেই সহপাঠী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই সহপাঠীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। বর্তমানে পুলিশ তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ঘটনার তদন্তে (Investigation) উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কুকর্মের পর নির্যাতিতার ফোনটিও নাকি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। পরে জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের ফোন থেকে তরুণী নিজের নম্বরে কল করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ প্রথমে এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে এবং পরবর্তীতে বাকি অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে পারে।
দেখুন আরও খবর: